মাহে রমজানের শুভেচ্ছা। রমজান সম্পর্কে হাদিস
সবাইকে জানিয়ে রাখছি পবিত্র মাহে রমজানের অগ্রিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। পবিত্র কুরআনে ঘোষিত রমজান মাস হচ্ছে ১২ টি মাসের মধ্যে সর্বোত্তম মাস। কারন এই মাসে আল্লাহর জন্য সবাই রোজা রাখে। সংযমের মাস, ধৈর্যের মাস, শান্তি- সম্প্রীতি, ত্যাগ-তিতিক্ষার মাস এই রমজান মাস বা রোযার মাস। এ মাসের আমল মহান আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় এবং আল্লাহ এই মাসে কবর আযাব পর্যন্ত থামিয়ে দেন। তাই আমাদের উচিত আগে থেকেই রমজান মাসের প্রস্তুতি গ্রহণ করা। নিজেরা প্রস্তুতি গ্রহণ করার সাথে সাথে অন্যদেরকেও স্মরণ করিয়ে দিতে পারি রমজানের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে। আগেই বলে নেই পবিত্র রমজানের সংবাদ আগে দেওয়ার অনেক ফজিলত রয়েছে। আল্লাহ খুশি হোন। তাই রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দিয়ে আপনি কিন্তু সওয়াবের ভাগীদারও হচ্ছেন।
রমজান
রমজান ইসলামের একটি পবিত্র মাস। এটি ইসলামিক দর্শনে বর্ষায়ুর নবান্নের একমাত্র মাস হিসেবে গণ্য হয়। এই মাসে মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ আদর্শ এবং প্রথা বিভিন্ন উপায়ে অনুসরণ করে।
রমজানে মুসলিমদের রোজা রাখা হয়, যা সকাল থেকে সন্ধ্যা নামাজের সময় পর্যন্ত খাদ্য এবং পানি সংযত করা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও, মুসলিমদের রমজানে কুরআনের পুনরাবৃত্তি, দুআ, চারিত্রিক সাধনা, দান, ইফতার সম্মেলন সহ অনেক আদর্শ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।
রমজানের আগমনে সময় প্রথম সেহরী ও আখিরী ইফতার সম্মেলনে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেহরীতে খাদ্য ও পানি সেবনের মাধ্যমে আসল বাড়তি শক্তি এবং বৃদ্ধি অর্জন করা হয় যাতে রোজাদারদের ইফতার সময়ে প্রয়োজনীয় শক্তি অর্জন করতে সহায়ক হয়। ইফতারে রোজা ভাঙ্গানো হয় আখেরে খাদ্য এবং পানি সংযত করে।
রমজান সম্পর্কে হাদিসের অনেক উল্লেখ রয়েছে, যেমন: “যে ব্যক্তি রমজানের ঈমান ও আমলের সহযোগিতা দেখাতে পারে, তাকে পরিত্যাগ করা হয় না।” [সহীহ বুখারি]
রমজানের মাসের দিন ও রাতে পরিশ্রম, ইবাদত, দোয়া এবং ধর্মীয় প্রক্রিয়ার বিশেষ উপলব্ধি করে। এই মাসের অধিকাংশ দিনগুলি ধর্মীয় কাজের সাথে অধিক সম্পন্ন করা হয়।
রমজানের শুভেচ্ছা
রমজানের শুভেচ্ছা জানাই! আল্লাহ্ তা’লা আপনাদের প্রত্যেকটি ইবাদত গ্রহণ করা এবং আপনাদের জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং আনন্দ অর্জন করুক। আপনার রমজান সময়টি ধন্যময় ও আনন্দময় হোক। রমজান মুবারক!
রমজানের শুভেচ্ছা জানাই! আল্লাহ্ তা’লা আপনাদের প্রত্যেকটি ইবাদত গ্রহণ করা এবং সকল দুঃখ ও সমস্যার মুক্তি দিতেন। রমজানে আপনার সমস্ত দোয়া কবুল হোক এবং আপনার জীবনে শান্তি, সন্তুষ্টি ও খুশি আনুক। রমজান মুবারক!
রমজানের শুভেচ্ছা জানাই! আল্লাহ্ তা’লা আপনাদের রমজানের সময়ে আনন্দ, সুখ, ও শান্তি দান করুক। আপনার অহেতুক ভালোবাসা এবং আশীর্বাদের সাথে আপনার সময় পাস করতে কামনা করি। রমজানে আপনার সকল ইবাদত কবুল হোক এবং আপনার জীবনে শান্তি ও খুশি আনুক। রমজান মুবারক!
রমজান সম্পর্কে হাদিস
রমজানের এই মাসটি গুণাহ মাফের মাস। আল্লাহ চাইলে আমাদের সবার সব গুণাহ মাফ করে দিতে পারেন। এই মাসটিতে কবরের আযাব পর্যন্ত হয় না। কবরবাসীরা এই মাসে কবরে শান্তিতে ঘুমায়। কত রহমত ও বরকতময় মাস, সুবহানাল্লাহ। এই শ্রেষ্ঠ মাসটিতে আপনি চাইলে হাদিস শেয়ার করে সকলকে অনুপ্রেরণা দিতে পারেন। একটি হাদিস শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি সওয়ার ও পেয়ে গেলেন, আর অন্যকেও রমজান মাসের গুরুত্ব উপলব্ধি করাতে পারলেন। রমজানের সম্পর্কে বিখ্যাত হাদিসের একটি উদাহরণ নিম্নে দেওয়া হলো-
হযরত অবুমুসা (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রমজান মাসের ঈমান ও আমলের সহযোগিতা দেখাতে পারে, তাকে পরিত্যাগ করা হয় না।” [সহীহ বুখারি]
এই হাদিসে প্রকাশিত হচ্ছে রমজান মাসের পূর্ণাঙ্গ সম্পর্কে মুসলিমদের দায়িত্ব এবং উত্তম আমল অনুষ্ঠানের গুরুত্ব।
রমজান সম্পর্কে বিখ্যাত হাদিসগুলির মধ্যে একটি হল-
নবী (সা:) বলেন, “যে ব্যক্তি রমজানের আগের ২৭ রাত এবং রমজানের দ্বিতীয় আশরের আগের আখিরের ১০ রাত এবং কুতুবসেওর রাত্রিতে ইতিকাফ করে তাকে আল্লাহ মুকাফাত দেন।” [সহীহ বুখারি]
এই হাদিসে প্রকাশিত হয়েছে মুসলিমদের জন্য ইতিকাফের গুরুত্ব, যা রমজানের অত্যন্ত পবিত্র সময়ে করা হয়। ইতিকাফ হলো একটি ধার্মিক আমল, যেখানে মুসলিম একটি মসজিদে অবস্থান করে অলগ্ন ভাবে আল্লাহর ইবাদতে লাগে। এটি এক প্রকার ধার্মিক মেধাবী অনুষ্ঠান, যা ইসলামিক ধর্মের সংক্ষিপ্ত অবতার।
শেষ কথা
আল্লাহ তায়ালার বারোটা মাসের মধ্যে রমজান মাস আল্লাহ তায়ালার কাছে অধিক প্রিয়। কারণ রমজান মাস আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত ও ফজিলতপূর্ণ একটি মাস। এ মাসের একটি রাত রয়েছে যা লাইলাতুল কদর নামে পরিচিত। এ রাতের ইবাদত হাজার বছরের ইবাদতের সমান। তাই রমজানের আমলগুলো থেকে আমরা যেন বঞ্চিত না হই সেজন্য রমজানের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল।
# শবে বরাত কি? শবে বরাতের ফজিলত # হাশরের ময়দান কোথায় হবে? হাশরের ময়দান
[…] […]